একটি সুসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি - A holistic approach : ২য় পর্ব

by - ৯:০৫ PM

দৃষ্টিভঙ্গি,-holistic-approach

ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ কিভাবে চেনা যাবে? (How do you recognize people with a positive attitude?)

একজন মানুষ অসুস্থ না হলেই যেমন তাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা যাবে না তেমনি নেতিবাচক মনোভাব না থাকলেও কাউকে ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন বলে চিহ্নিত করা যাবে না। ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য সহজে নজরে পড়ে। তারা দয়ালু, আত্মবিশ্বাসী, ধৈর্যশীল এবং নিরহঙ্কার। তারা নিজেদের সম্পর্কে এবং অন্যের সম্পর্কেও উচ্চ আশা পোষণ করেন এবং সব কাজেইিইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করেন। যাদের মনোভাব ইতিবাচক তারা বারমাসি ফলের মতো, সব সময়েই সুস্বাদু ও তাই তারা সবসময় স্বাগত।


ইতিবাচক মনোভাবের সুবিধ (The benefits of a positive attitude)
এই মনোভাবের সুফল অনেক এবং সহজে তা নজরেও পড়ে। অবশ্য যা সহজে নজরে পড়ে তা সহজে নজর এড়িয়েও যেতে পারে। যাইহোক কয়েকটি সুবিধা উল্লেখ করা যায়।
উৎপাদনশীলতা বাড়ায়
সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে
সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে
কাজের উৎকর্ষ বাড়ায়
সৌহার্য্উপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে
আনুগত্যের মনোভাব তৈরি করে
মুনাফা বাড়ায়
কর্মচারী, মালিক ও ক্রেতাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি করে
মানসিক চাপ কমায়
সমাজের সহায়ক সদস্য হতে সাহায্য করে
একজন ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচিত হতে সাহায্য করে।

নেতিবাচক মনোভাবের ফলাফল (The consequences of a negative attitude)
জীবনে অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়, এবং অনেক সময় আমাদের নেতিবাচক মনোভাবই সবচেয়ে বড় বাধার সৃষ্টি করে।এই মনোভাবের ফলে বন্ধুত্ব ও চাকরি রক্ষা করা, কিংবা সামাজিক ও দাম্পত্য সম্পর্ক রক্ষা করাও কঠিন হয়ে ওঠে। এরূপ মনোভাবের ফলে,
তিক্ততার সৃষ্টি হয়
ক্ষোভের ও অসহিষ্ণুতার সৃষ্টি হয়
জীবন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়ে
অসুস্থতার শিকার হতে হয়
নিজের ও ঘনিষ্টদের উপর মানসিক চাপ বাড়ে, পরিবারের মধ্যে এবং কর্মস্থলে এমন একটি নেতিবাচক আবহাওয়া সৃষ্টি করে যা কারোর পক্ষে মঙ্গলদায়ক নয়। এরূপ মনোভাব ধীরে ধীরে শুধু ঘনিষ্টদের সংক্রামিত করে না, পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও সঞ্চায়িত হয়।

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের পদ্ধতি (Step to building a positive attitude)
মানুষের স্বভাব পরিবর্তনের পরিপন্থী। পরিবর্তন অস্বস্তিকর। বাল্যকালেই সারাজীবনের জন্য মানস-গঠন সম্পন্ন হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সেই বছরগুলিতে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে ওঠে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে ঘটনাচক্রে যদি বাল্যকালে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে তবে তা সারাজীবন বহন করে চলতে হবে। এরূপ মনোভাবের পরিবর্তন করা যায় কিন্তু তা খুব সহজসাধ্য নয়। কিভাবে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হয়?
যে আদর্শগুলি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
ইতিবাচক মনোভাব অর্জন করার আকাঙ্খা।
আদর্শগুলি সার্থকভাবে অনুসরণের জন্য শৃঙ্খলাবোধ ও নিষ্ঠার অনুশীলনের প্রয়োজন।

You May Also Like

0 Comments