যেই মেয়ের বাবা না থাকে তার সংসার জীবন অনেক কষ্টের হয়

by - ৭:৩৬ PM

If the girl does not have a father, then the life of her family is a lot of trouble.

যেই মেয়ের বাবা না থাকে তার সংসার জীবন অনেক কষ্টের হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সংসার জীবনটা একরকম যুদ্ধই কিন্তু এরপরও দুজনের ত্যাগের দ্বারা যেই ভালো সময় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব তা অন্য কোন ভাবে সম্ভব না।

বাবা যতই রাগী, বদ মেজাজী, মুর্খ হউক তিনি তার সন্তানের জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূ। সংসার জীবনে শশুর না থাকলে মেয়েকে দাম দিতে চায়না এ সমাজ যদিও প্রথম দিকের মোহ খুব ভালোবাসা দেখিয়ে একটা ভরসা তৈরী করে কিন্তু একটা সময় হেলাফেলাতেই চলতে থাকে সময়..

স্বামী অন্য পতিতা সমতুল্যদের সাথে হেসেখেলে দিন পার করে বাসায় ফিরে..
- ওই ভাত দে
- ঘরে তো কিছুই নাই, বাচ্চা দুইটারে ডাইল দিয়া দুপুরের পানি ভাত খাওয়াইছি।
- তর এই বাজার, বাজার ঘ্যান ঘ্যান আর ভাল্লাগেনারে...

এটা দৈনিকের রুটিন, এছাড়াও বউকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় না, ছেলে মেয়েগুলার প্রতি তেমন খেয়াল থাকেনা, সেও তো একটা বাবা সে হিসেবে দায়ে পড়ে যা পারে করে আরকি!, কিন্তু বউয়ের কি লাগবে, তার স্বাদ-আহ্লাদ সব খুন করে পেটে ভাতে রাধুনীর মতো পাশে রাখে, পারলে তো তাকে দিয়ে কাজ করতেও ফ্যাক্টরীতে পাঠায় "যৌতুক দিতে পারিস না আর ঘরে বসে খাবি!!”।

আজকালকার গার্মেন্টস্ কর্মীদের অধিকাংশের জীবনের ঘটনা হিসেবে এটা ডাল ভাত, সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না-বান্না করে ছেলে মেয়েকে খাওয়ানোর পর দুপুরের জন্য টিফিন বক্সে ভাত-ডাল নিয়ে ছুটে আবার রাত ৯ টা ১০ টার দিকে এসে রান্না বান্না করে স্বামী সন্তানদের আহারের ব্যবস্থা করে ঘুমোতে ঘুমোতে ১২টা, এর মধ্যে চুলার জন্য সিরিয়াল আর সারা দিনের পরিশ্রম তো আছেই অনেক সময় গ্যাসই থাকেনা, আবার ভোর ৫টায় না উঠলে চুলা পাওয়া যাবে না।

অবহেলিত যোদ্ধাদের যদি মায়ের বাড়ী যেতে হয় তবে একাই যেতে হয়, স্বামী শুধু বলে " যা, তোর তো আবার গেলে আইতে মন চায়না" আর আসার ফিরার সময় একা আসতে হয়। এর মধ্যে খোজ খবর নেওয়ার জন্য যতনা কল যায় তার চেয়ে বেশি যায় ”কবে আসবি” ধরনের।

এই ঘটনাগুলো শুধু এতিম মেয়েদের না এগুলো 
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দের ঘরেও দেখা যায়।

অথচ একই ব্যক্তি ভাব নিয়ে প্রেম করে বেড়ায় লুচ্চা-গুন্ডি, বেহায়া, বেশরম, পেশাদারী, উচ্চ বিলাসী, ধান্দাবাজির টাকায় সাজগোজ করে বুক ফুলিয়ে নানা অংগভংগী করে সম্মোহনী নারীগুলোর সাথে।

সবকিছুর বিপরীতে যদি স্বামী তার সব দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করতো তাহলে কতই না উত্তম হতো, স্ত্রী রাও যদি তাদের দায়িত্বগুলো সুন্দরভাবে পালন করতো তবে কতই না উত্তম হতো। পরকীয়াও কমে যেতো, পতিতাবৃত্তিও কমতো, নিজ ও সমাজে শৃংখলাও বাড়তো।

এ সমাজ টাকা পয়সা আর নানা অযুহাতে সময়মত যথাযথভাবে বিয়ে না দিয়ে নানান অপকর্ম বাড়াচ্ছে আর প্রেম নামক নোংরামীর কথা বলে পোষ্ট বড় করতে চাচ্ছিনা, অন্য একদিনের জন্য রেখে দিলাম।

উপরোক্ত কথাগুলোর অসঙ্গতি সম্পর্কে সচেতন হউন, সুন্দর সমাজ বিনির্মানে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন। ভালো থাকুন।

- আব্দুল হাকীম
এডমিন, জানতে হবে

You May Also Like

0 Comments