পরের পিঠা, লাগে মিঠা - বড় রোগের সহজ সমাধান!

by - ১:০০ PM

পরের পিঠা, লাগে মিঠা - বড় রোগের সহজ সমাধান!
কর্মক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের কলিগের সঙ্গে একটু ক্যাজুয়াল হলেই অনেকে সাংসারিক ব্যক্তিগত সমস্যার কথা শেয়ার করতে শুরু করেন। তখন কলিগ আহা! উহু! করে সিমপ্যাথি দেখিয়ে খুব জ্ঞানগর্ভ সাজেশন দেন।

এত দরদ দেখে মনে হতে পারে এ আমাকে যত বোঝে আমার বর/বউ তো কখনোই তত বোঝে না। এ প্রসঙ্গে কবি বলেছেন- পরের পিঠা, লাগে মিঠা।
এখান থেকেই শুরু.... নিজের জনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি। মিথ্যা স্বপ্ন দেখে আরেকজনকে ধরাধরি।

কিন্তু আসলে কেউই সুপারম্যান বা সুপারউইম্যান না। সবাই অ্যাভারেজ মানুষ। একদিক দিয়ে দোষ থাকলে আরেকদিকে গুণ থাকবে। কেউই কারও থেকে অ্যাবসলিউটলি সুপিরিয়র না।

এটা একসময় বুঝে আসে। স্বপ্নভঙ্গের পরেও দ্বিতীয় বিয়ে টিকে যায়। কারণ তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ইত্যাদি বিয়ে করা এত সহজ বা প্র‍্যাকটিক্যাল না। যদি না আপনি এলিজাবেথ টেইলর হয়ে থাকেন। তিনি সাতজন হাজব্যান্ডকে আটবার বিয়ে করেছিলেন। আমার স্কুল বদলের রেকর্ডের থেকেও বেশি। আমি ছয়টা স্কুলে সাতবার পড়েছিলাম।

এটাও একদিন বুঝে এসে যায় যে, মানুষমাত্রই দোষে-গুণে অ্যাভারেজ। এই অ্যাভারেজ একটা মানুষকে নিজের কাছে স্পেশাল করে নিতে হয় নিজের চেষ্টায় এবং ধৈর্যে। সে পুরো পৃথিবীর কাছে অ্যাভারেজ হলেও একজনের কাছে হবে সুপারম্যান/সুপারউইম্যান।

প্রথমেই একটু ধৈর্য রাখলে এই ভাঙাগড়া করতে হতো না। এটা একটা সামাজিক রোগ। যে কোনো রোগপ্রতিকারের থেকে প্রতিরোধ করা সহজ। এই রোগের প্রতিরোধক হলো- বাইরের কারও সঙ্গে নিজের সংসারের প্রাত্যহিক ঘটনাবলি শেয়ার না করা।

বড় রোগের সহজ সমাধান।

You May Also Like

0 Comments